জেবুন্নেছা খোকনের আলোচনা সভায়,আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিজ ওয়ার্ড ১৩ নম্বরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতের পক্ষে একটি সভায় যোগ দিয়েছেন প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরনের স্ত্রী জেবুন্নেছা আফরোজ।

জেবুন্নেছা খোকনের আলোচনা সভায়
সভায় মেয়রপ্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের স্ত্রী লুনা আব্দুল্লাহর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চান বলেও জানান জেবুন্নেছা আফরোজ। পরে সভা শেষে তারা এলাকায় গণসংযোগ করেন।
শনিবার রাতে নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সিঅ্যান্ডবি রোড এলাকায় খোকন সেরনিয়াবাতের পক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
জেবুন্নেছা আফরোজ বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তিনি শওকত হোসেন হিরনের মৃত্যুর পর বরিশাল-৫ (সদর) আসন থেকে উপ-নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
শনিবার রাতে নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডবাসীর আয়োজনে সিঅ্যান্ডবি গ্যারেজ এলাকায় আবুল খায়ের আবদুল্লাহর পক্ষে তার স্ত্রী লুনা আবদুল্লাহর উপস্থিতিতে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় লুনা আবদুল্লাহর সঙ্গে অতিথি হিসেবে যোগ দেন জেবুন্নেছা আফরোজ।

এসময় তিনি মঞ্চের সামনে উপস্থিত সবাইকে হাত উঁচু করে শুভেচ্ছা জানান। পরে সভা শেষে তারা ওই এলাকায় গণসংযোগ করেন।
খোকন সেরনিয়াবাতের নির্বাচন পরিচালনার জন্য গঠিত উপদেষ্টা কমিটিতে জেবুন্নেছা-আফরোজকে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে আবুল খায়েরের নির্বাচনী কার্যালয়ের দপ্তর প্রধান অ্যাডভোকেট লস্কর নুরুল হক বলেন, প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন বরিশালের মানুষের কাছে আজও স্মরণীয় হয়ে আছেন। তার স্ত্রী জেবুন্নেছা- আফরোজ খায়ের আবদুল্লাহর পক্ষে মাঠে নেমেছেন। এতে সাধারণ ভোটাররা উৎসাহ পাবেন।
বরিশাল সিটির মেয়র থাকার সময় নগরীর ব্যাপক উন্নয়ন করায় বেশ জনপ্রিয় ছিলেন শওকত হোসেন হিরন। তবে ২০১৩ সালের সিটি নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন। এরপর ২০১৪ সালে বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন শওকত হোসেন।

ওই বছরের এপ্রিলে তিনি মারা গেলে তার শূন্য আসনে উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন জেবুন্নেছা- আফরোজ। তবে ২০১৮ সালে তিনি দলীয় মনোনয়ন পাননি। এরপর থেকে রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। মাঝেমধ্যে দলের বড় কোনো কর্মসূচিতে তাকে দেখা গেলেও তা নিয়মিত ছিল না।
আরও পড়ুন:

১ thought on “জেবুন্নেছা খোকনের আলোচনা সভায়”